বাংলাদেশের আম ইউরোপে পাঠাতে বাড়তি কড়াকড়ি
বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করা আম এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে রপ্তানি করতে পারছে না অনেক আম চাষি। কৃষি অধিদপ্তর বলছে, ভালো মানের আম রপ্তানি না করায় এর আগের দুই বছর ইউরোপের দেশ থেকে আমের চালান ফেরত এসেছে। তাই এবারে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে আম বাছাই করা হচ্ছে।
এদিকে আম চাষিরা বলছে, সরকারের বেঁধে দেওয়া নিয়মের কারণে প্রায় ৭০ শতাংশ আম তারা রপ্তানি করতে পারবে না।
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে আম রপ্তানির প্রচলন কয়েক বছর থেকে শুরু হয়েছে। আম চাষিরা দেশি বাজারের তুলনায় বেশি দামে বিদেশে আম বিক্রি করতে পারায় অনেকের লক্ষ্য ছিল রপ্তানির দিকেই। কিন্তু এবারে আম বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সরকারের রয়েছে বেশ কিছু কড়া বিধিনিষেধ।
কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আনোয়ার হোসেন খান বলেন, আমের মান বিগত বছরগুলোতে ভালো না থাকায় বাংলাদেশ থেকে আম আর না নেওয়ার ইঙ্গিত দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যার কারণেই তাদের বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুসরণ করতে হচ্ছে। তিনি বলন, ‘আমরা এবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাদের আশ্বস্ত করেছি যে উন্নত মানের আম রপ্তানি করা হবে। ’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বলছে, রপ্তানির উদ্দেশ্যে আগে থেকেই আম চাষিদের বিষ ও পোকামুক্ত আম উৎপাদনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
সে অনুযায়ী তারা আম উৎপাদন করেছে।
এখন কোয়ারান্টাইন বা আম পরীক্ষা-নিরীক্ষার পদ্ধতির কারণে প্রায় ৭০ শতাংশ আম রপ্তানি করতে পারবে না বলে চাষিরা অভিযোগ করছে।
ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শরফ উদ্দিন বলেন, যেভাবে আম বাছাই করা হচ্ছে সেটা সঠিক পদ্ধতি নয়। যদি আমের গায়ে আঠার দাগ বা পাতার দাগ থাকে সেটাও বাতিল করা হচ্ছে। এভাবে যদি চলে তাহলে ভবিষ্যতে চাষিরা নিরুৎসাহ হয়ে পড়বে।
Comments
- No comments found
Leave your comments