এই গরমে কেনো আম খাবেন?
এই গরমে কেনো আম খাবেন?
সিজনটা আমের। তাই তো বাসার বাইরে বের হলেই নজরে আমের বিভিন্ন রকমারী খাবার চোখে পড়ে। আর কয়েকদিন পরই বাজারের ফলমূলের দোকানে ফলের রাজা আমে ভরপুর হয়ে যাবে। আমরা সকলেই কম বেশি আম খেয়ে থাকি। তবে ক’জনে জানি সেই আমের স্বাস্থ্যগুণ ও উপকারিতা। চলুন এবার আমের কিছু স্বাস্থ্যগুণ ওউপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
১. হৃদযন্ত্রের সুরক্ষায় : আমের মাঝে উচ্চ আঁশ ও এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। আর এসব উপাদান হৃদরোগের সম্ভাবনাকে কমায়। প্রতি এক কাপ আমে ৩ গ্রাম পরিমাণ আঁশ থাকে, আর ৭ গ্রাম আঁশ গ্রহণের ফলে ৯% হৃদরোগের আশঙ্কা কমে।
২. হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ : মূলত গ্রীষ্মের সময়েই আম পাকে। এটাই আমের সিজন। প্রচন্ড খরতাপে উত্তপ্ত শরীর ও কড়া মেজাজে আমের রসের সাথে এক টেবিল চামচ মধু ও সামান্য পরিমাণ পানি মিশিয়ে পান করলে মুহূর্তেই শরীর ঠান্ডা হয় ও সেই সাথে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ করে।
৩. ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ : এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, আমে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় কোলন, স্তন, লিউকেমিয়া ও প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
৪. হজম প্রক্রিয়া : ফলের রাজা আমে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ, ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর থাকে। আর আমে থাকা আঁশ হজমে ও বর্জ্য ত্যাগে স্যাহায্য করে থাকে।
৫. চোখের যত্ন : ভিটামিন এ থাকায় আম চোখের যত্নেও গুরুত্ব রাখে। প্রতিদিন একজন মানুষের যে পরিমাণ ভিটামিন এ-র চাহিদা প্রয়োজন হয়, যদি এক কাপ পাকা আম খাওয়া যায় তাহলে প্রতিদিনের চাহিদার ২৫% পূরণ করে এই আম। এছাড়াও দৃষ্টিশক্তি উন্নত, চোখের শুষ্কতা ও রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও এর তুলনা হয়না।
৬. কামোত্তেজক : আমকে লাভ ফ্রুটও বলা হয়। এতে কামোত্তেজক গুণাগুণ রয়েছে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকাতে আম মানবদেহের সেক্স হরমোনকে নিয়ন্ত্রণ করে।
৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি : আমে ভিটামিন সি, এ এবং প্রায় ২৫টি ক্যারোটিনয়েডের মাত্রাতিরিক্ত ভালো সমন্বয়কারী উপাদান রয়েছে। যা কিনা রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
Comments
- No comments found
Leave your comments