চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাজারে নেমেছে সুমিষ্ট আম
হাজারো আমচাষী ও ব্যবসায়ীর অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়েছে। প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময়সীমা শেষে বৃহস্পতিবার থেকে আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জে শুরু হয়েছে আম পাড়ার কর্মযজ্ঞ। এর ফলে শুক্রবার সকাল থেকেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাজারগুলোয় পাওয়া যাচ্ছে রসালো আম। এতে ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে আম বাজারগুলো। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার আম মৌসুমকে ঘিরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অর্থনীতিতে লেনদেন হবে এক হাজার কোটি টাকারও বেশি। সড়কের দু’ধারে সারি সারি আম বাগান ও সুস্বাদু আমের কথা উঠলেই সবার আগে চলে আসে সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাম। জেলায় এবার প্রায় ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। আমগাছের পরিমাণ প্রায় ২২ লাখ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অফিস জানায়, জেলায় প্রায় আড়াইশ’ জাতের আম চাষ হয়। এর মধ্যে খিরসাপাত (হিমসাগর), ক্ষুদি খিরসা, ল্যাংড়া, বোম্বাই, গোপালভোগ, ফজলী, আম্রপালি, আশ্বিনা, বৃন্দাবনী, লক্ষণভোগ, কালীভোগ জাতের আমই বেশি চাষ হচ্ছে। বিষমুক্ত আম উৎপাদনের লক্ষে গত কয়েক বছরের মতো এবারও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম সংগ্রহ, বিক্রি ও পরিবহনের ক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। প্রশাসনের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাগানে বাগানে আম সংগ্রহের কাজ শুরু করেন চাষীরা। শুক্রবার ভোর থেকেই এসব আম আসতে থাকে জেলা শহরের পুরাতন বাজার, শিবগঞ্জের কানসাট, গোমস্তাপুরের রহনপুর ও ভোলাহাটের আম ফাউন্ডেশন বাজারে। চলতি মৌসুমের প্রথমদিনে আম বিক্রি হচ্ছে চড়া দামেই। শুক্রবার পুরাতন বাজার ও কানসাট বাজারে গোপালভোগ আম বিক্রি হয়েছে দেড় হাজার থেকে ২ হাজার টাকা মণ দরে। পুরাতন বাজারের ব্যবসায়ী লিখিল জানান, প্রথম দিনেই চড়া দরে আম বিক্রি হয়েছে। শুক্রবার এ বাজারে গোপালভোগ আম বিক্রি হয়েছে দেড় হাজার থেকে ২ হাজার ২শ’ টাকা মণ দরে।
Comments
- No comments found
Leave your comments