ল্যাংড়া আম বাণিজ্যে প্রতারণা
মৌসুমের আগেই রাজধানীসহ সারা দেশে দেদার বিক্রি হচ্ছে ল্যাংড়া আম, যা এখনও পুরোপুরি পাকেনি। তবে কেউ জেনে আবার কেউ না জেনেই কিনছে এ ফলটি। আর মৌসুমের আগেই এ আম নিয়ে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী করছে প্রতারণা বাণিজ্য। ফলে প্রতিনিয়ত ঠকছেন সাধারণ ক্রেতারা। এ প্রসঙ্গে রাজশাহীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের শস্য উৎপাদন বিশেষজ্ঞ সাজদার রহমানের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, বাজারে এ সময় দেশীয় ল্যাংড়া আম থাকার কথা নয়। আর বাজারে যেসব ল্যাংড়া আম পাওয়া যাচ্ছে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। সরেজমিন রাজধানীর বেশ কয়েকটি ফলের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঝুড়ি ও ভ্যান বোঝাই করে প্রচুর পরিমাণে ল্যাংড়া আম বিক্রি হচ্ছে।
কিন্তু দেখা গেছে, বিক্রি হওয়া এসব ল্যাংড়া আমের কোনো স্বাদ-গন্ধ নেই, উল্টো আছে রাসায়নিক বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশংকা। এ প্রসঙ্গে রাজশাহীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের শস্য উৎপাদন বিশেষজ্ঞ সাজদার রহমানের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, বাজারে এ সময় দেশীয় ল্যাংড়া আম থাকার কথা নয়। বাজারে যেসব ল্যাংড়া আম পাওয়া যাচ্ছে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। এদিকে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র থেকে জানা গেছে, দেশী জাতের ল্যাংড়া আম গাছে থাকা অবস্থায় ১৫ থেকে ২০ জুনের মধ্যে পাকে। এসব আম বাজারে আসতে আরও ৩ থেকে ৫ দিন সময় লেগে যায়। সব মিলিয়ে দেশীয় ল্যাংড়া আম রাজধানীসহ সারা দেশের বাজারে ২৫ জুনের মধ্য পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। আম ব্যবসায়ী সোহেল জানান, দোকানগুলোতে অল্প পরিমাণে দেশীয় ল্যাংড়া আম রয়েছে। সেগুলো বেশি মুনাফার লোভে গাছে পাকার আগেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তা নিয়ে এসে প্রচুর পরিমাণে কার্বাইড দিয়ে আম পাকিয়ে ক্রেতাদের সামনে এনে বিক্রি করছে। আর বাদবাকি আম আনা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে। তিনি আরও জানান, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলায় কিছু দালাল আছে যারা ভারত থেকে আম কিনে এনে বাংলাদেশের ওইসব অসাধু ব্যবসায়ীর কাছে কম দামে বিক্রি করে। আর খুচরা ব্যবসায়ীরা সাধারণ ক্রেতাদের কাছে প্রতারণা করে দেশী ল্যাংড়া আম বলে বেশি দামে বিক্রি করে।
Comments
- No comments found
Leave your comments