ছাদে চাষ করা যাবে আমরাজ আম্রপালি
বটবৃক্ষের মতো আমগাছের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। বামন আকৃতির আমগাছ এসে গেছে আমাদের মাঝে। যা এখন শোভা পাচ্ছে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ গাছটি ছাদে, টবে বা অর্ধড্রামেও চাষ করা যায়। জানাই হলো না আমগাছের জাতটির নাম কী? হ্যাঁ, এ জাতটি হচ্ছে আম্রপালি।
গাছ বামন আকৃতির ও ঝোপালো। ছোট হওয়া সত্ত্বেও অন্যান্য জাতের আমগাছের সমান বয়স ধরে বাঁচে। দেশের সব এলাকায় ও সব মাটিতে উপযোগী। এ জাতটি জমিতে মিশ্রভাবে আবাদ করা যায়। প্রথম বছরেই ফল দেয়।
সব ধরনের মাটি দিয়েই আম্রপালি চাষ করা যায়। তবে অম্লীয়, উর্বর দো-আঁশ মাটি সবচেয়ে ভালো। এটি চাষের জন্য ২০-৩০দিন আগে গর্তে/টবে/অর্ধড্রামে ৩০-৪০কেজি পচা গোবর, ৫০গ্রাম ইউরিয়া, টিএসপি ও এমপি ১০০গ্রাম করে এবং জিপসাম, বোরাক্স ও জিগ্ধক সালফেট ১০গ্রাম করে দিয়ে মাটির সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। এরপর প্রতি বছরে প্রতি গাছের জন্য ৪০কেজি গোবর সার, ইউরিয়া ৫০গ্রাম, টিএসপি ও এমপি ১০০গ্রাম এবং জিপসাম, বোরাক্স ও জিগ্ধক সালফেট ১০গ্রাম করে বৃদ্ধি হারে প্রয়োগ করতে হবে। সার প্রয়োগের পর সেচ দেয়া ভালো। গাছের গোড়া সবসময় আগাছামুক্ত রাখতে হবে। গাছ লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে খুঁটি বেঁধে দিতে হবে। কলমের গোড়ার নিচের অংশে কুশি বের হলে তা ভেঙে ফেলতে হবে। প্রয়োজনে জৈব-অজৈব বালাইনাশক ব্যবহার করতে হবে। গাছের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মরা ও অপ্রয়োজনীয় অংশ কেটে ফেলতে হবে। আমগাছে আমের রস শোষক পোকা, ফল ছিদ্রকারী পোকা, কাণ্ডের মাজরা পোকা, ফলের মাছি পোকা ও গল পোকার উপদ্রব দেখা যায়। গাছের কচিপাতার ক্ষেত্রে পাতাকাটা ও পাতাখেকো পোকার উপদ্রব দেখা যায়। এসব পোকা দমনের জন্য সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের যে কোনো কীটনাশক (২ মিলি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে) স্প্রে করতে হবে। রোগের মধ্যে পাউডারি মিলডিউ, পাতায় মরিচাপড়া, অ্যানথ্রাকনোজ, পাতা পোড়া ও ম্যালফরমেশন দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে কপার ফাংগিসাইড/ছত্রকানাশক (২ মিলি গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে) স্প্রে করতে হবে।
Comments
- No comments found
Leave your comments