হিমসাগর আম রফতানি হবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে
মেহেরপুরে এবার আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। গত কয়েকদিনের কালবৈশাখী ঝড়ে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও চলতি বছরও আম চাষিরা লাভের আশা করছেন। এদিকে গেল বছর স্বল্প পরিসরে সুস্বাদু হিমসাগর আম ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে রপ্তানি হলেও এ বছর ব্যাপক হারে রপ্তানি করার প্রস্তুতি নিয়েছে বাগান মালিকও আম ব্যবসায়ীরা।
উন্নত মানের আম উৎপাদনের লক্ষে এরই মধ্যে আমে ব্যাগ (ব্যাগিং পদ্ধতি) পরানোর কাজ শেষ হয়েছে। সুস্বাদু হিমসাগর আমটিকে জেলার ব্রেন্ডিং আম এবং আন্তর্জাতিক বাজারে এই আম ছড়িয়ে দিয়ে একটি স্থান তৈরি করার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানালেন জেলা কৃষি বিভাগ এবং জেলা প্রশাসন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রতি বছর আম নির্দিষ্ট সময়ের আগে পরিপুষ্ট হয়ে পেকে যায়, ফলে সময় না হওয়ায় চাষিরা গাছ থেকে আম ভাঙতে পারেন না। ফলে আম নিয়ে অনেক সময় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাই চলতি বছর আম গাছ থেকে ভাঙার সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। গোপালভোগ আম ১৫ মে, হিমসাগর আম ২০ মে, ল্যাংড়া আম ৩০ মে এবং আম্রপালি আম জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে গাছ থেকে সংগ্রহের সময় বেধে দেয়া হয়েছে।
হিমসাগর, ল্যাংড়া, বোম্বাই, ফজলি, আম্রপলিসহ নানা জাতের আম উৎপাদন হয়ে থাকে এই জেলায়। উৎপাদিত আমের মধ্যে দেশ জুড়ে বিশেষ খ্যাতি রয়েছে হিমসাগর ও ল্যংড়া আমের। ক্রেতাদের কাছে সুমিষ্ট ও সুস্বাদু এ আম দুইটির চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
আন্তর্জাতিক বাজারে প্রথমবারের মতো ২০১৫ সালে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর হিমসাগর আমটি জেলার ১৫টি আমবাগান নির্বাচিত করে স্বল্প পরিসরে মাত্র ১২ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করে। আর আম রফতানির জন্য বায়ারদের সঙ্গে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ে চুক্তিবদ্ধ হন জেলার ২৪ জন আমচাষি। যার মধ্যে বিদেশের বাজারে আম দেন মাত্র ১০ থেকে ১২ জন চাষি। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সেসব বাগান থেকে ৪৫ হাজার আম সংগ্রহ করে।
সুস্বাদু হওয়ায় ওই সব দেশগুলোতে এই আমরে চাহিদা বেড়ে যায় দ্বিগুণ। আম রফতানিতে সফল হওয়ায় চলতি মৌসুমে বায়ারদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন প্রায় শতাধিক আমচাষি। ফলে চলতি বছর জেলা থেকে প্রায় ২’শ মেট্রিক টন আম ইউরোপের দেশগুলোতে রপ্তানি করার প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ।
ঝাউবাড়িয়া গ্রামের বাগান মালিক শাহীনুর রহমান শাহীন জানান, ৩০ বিঘা আম বাগানে ৩’শ টির ও বেশি হিমসাগর আমের গাছ রয়েছে। গাছে মুকুল আসার পর থেকেই বাগান পরিচর্যার কাজ শুরু হয়েছে। ফলে এ বছর ফলন হয়েছে অনেক ভালো। আঁটি আসার পর থেকেই বাছাই করে আমে ব্যাগ পরানো শুরু হয়েছে। ব্যাগ পরানোর ফলে রোদ-বৃষ্টি কিংবা বাহিরের কোনো পোকামাকড় আমের ক্ষতি করতে পারবে না। ফলে আমটির গঠন অনেক সুন্দর ও সুস্বাদু হবে।
ঝাউবাড়িয়া গ্রামের আম চাষি বাবলু হোসেন জানান, মেহেরপুরের আম দেশের অনান্য এলাকার তুলনায় আগে পরিপুষ্ট হয়ে পেকে যায়, তাই সরকার আম গাছ থেকে ভাঙার যে নির্দিষ্ট সময় রয়েছে তার চাইতে মেহেরপুরের আম অনন্ত ১৫ দিন আগে ভাঙ্গার অনুমোতির দাবি করেন তিনি।
আমদাহ গ্রামের আম চাষি মামুনুর রশিদ জানান, গত বছরে ১৫ হাজার আম দিয়েছিলেন বায়ারদের। ভালো লাভ পাওয়ায় এবার দেড় লাখ আমে ব্যাগ পরানো হয়েছে। কিন্তু চলতি বছরে আম উৎপাদনে খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ। প্রতিটি আমে ব্যাগ পরাতে খরচ হচ্ছে ৪ থেকে ৫ টাকা। আম সংগ্রহ পর্যন্ত রফতানিযোগ্য এক কেজি আম উৎপাদন করতে খরচ দাঁড়াবে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। আবার বায়ররা বাছাইকৃত আম ছাড়া নেবেন না। ফলে ছোট ও দাগসহ আম নিয়ে বিপাকে পড়তে পারে চাষিরা। গত মৌসুমে প্রতি কেজি আমের দাম পাওয়া গেছে ৯৫ টাকা। এ বছরে একই দামের দাবি জানান তিনি।
আম বাগানে আমে ব্যাগিং পরানোর কাজে নিয়জিত শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতিটি আম বাগানে ব্যাগিং এর কাজ করা হয়েছে। প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্র বিভিন্ন বাগানে অবসর সময়ে কাজ করে প্রায় ৩’শ থেকে ৪শ টাকা আয় করেছে।
রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মফিজুর রহমান জানান, ব্যাগে আম সংরক্ষণ করলে বোটা শক্ত হবে এবং আমটি বাইরের যে কোনো ক্ষতিকর অবস্থা থেকে রক্ষা পাবে এবং রঙ নষ্ট হবে না। পাশাপাশি কিটনাশক মুক্ত আম সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। বাইরের দেশে আমটি রপ্তানি হলে চাষিরা দামও ভালো পাবে।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এসএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, হিমসাগর আমটি দেশের সবচেয়ে সুস্বাদু আম। যেহেতু এই আমের বিশেষ খ্যাতি রয়েছে তাই হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপলি আম ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রফতানি করার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
এতে একদিকে যেমন এই আম থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে অন্যদিকে চাষিরাও লোকশানের বদলে লাভবান হবে। তিনি আরো জানান, এই ধারা অব্যহত থাকবে। ইতিমধ্যেই অন্যান্য চাষিদের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো ব্যপক হারে এই আম বিদেশের বাজারে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। নিরাপদ উপায়ে চাষিদের উন্নত মানের আম উৎপাদনের কলা কৌশলের উপর বিশেষ ভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ জানান, যেহেতু এই আমটি শুধুমাত্র মেহেরপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয়ে থাকে এবং আবহাওয়া ও মাটির গুণাগুন ভালো থাকায় আমটি সুস্বাদুও হয়ে থাকে সবচেয়ে বেশি। তাই বাগান মালিক সহ সংশ্লিষ্টদের সাথে বিষয়টি বিবেচনা করে এই আমটিকে মেহেরপুরের ব্রান্ডিং আম করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আমটিকে ব্রেন্ডিং করা হলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি বিদেশের বাজারে এই আমটি বিশেষভাবে পরিচিতি লাভ করবে এবং মেহেরপুর সহ সারা বাংলাদেশের নাম ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়বে।
এছাড়াও ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে কেউ যাতে আম বাজারজাত না করতে পারে সে বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
নিজস্ব সংবাদদাতা, মেহেরপুর ॥ মেহেরপুরে এবার আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। গত কয়েকদিনের কালবৈশাখী ঝড়ে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও চলতি বছরও আম চাষিরা লাভের আশা করছেন। এদিকে গেল বছর স্বল্প পরিসরে সুস্বাদু হিমসাগর আম ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে রপ্তানি হলেও এ বছর ব্যাপক হারে রপ্তানি করার প্রস্তুতি নিয়েছে বাগান মালিকও আম ব্যবসায়ীরা।
উন্নত মানের আম উৎপাদনের লক্ষে এরই মধ্যে আমে ব্যাগ (ব্যাগিং পদ্ধতি) পরানোর কাজ শেষ হয়েছে। সুস্বাদু হিমসাগর আমটিকে জেলার ব্রেন্ডিং আম এবং আন্তর্জাতিক বাজারে এই আম ছড়িয়ে দিয়ে একটি স্থান তৈরি করার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানালেন জেলা কৃষি বিভাগ এবং জেলা প্রশাসন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রতি বছর আম নির্দিষ্ট সময়ের আগে পরিপুষ্ট হয়ে পেকে যায়, ফলে সময় না হওয়ায় চাষিরা গাছ থেকে আম ভাঙতে পারেন না। ফলে আম নিয়ে অনেক সময় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাই চলতি বছর আম গাছ থেকে ভাঙার সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। গোপালভোগ আম ১৫ মে, হিমসাগর আম ২০ মে, ল্যাংড়া আম ৩০ মে এবং আম্রপালি আম জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে গাছ থেকে সংগ্রহের সময় বেধে দেয়া হয়েছে।
হিমসাগর, ল্যাংড়া, বোম্বাই, ফজলি, আম্রপলিসহ নানা জাতের আম উৎপাদন হয়ে থাকে এই জেলায়। উৎপাদিত আমের মধ্যে দেশ জুড়ে বিশেষ খ্যাতি রয়েছে হিমসাগর ও ল্যংড়া আমের। ক্রেতাদের কাছে সুমিষ্ট ও সুস্বাদু এ আম দুইটির চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
আন্তর্জাতিক বাজারে প্রথমবারের মতো ২০১৫ সালে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর হিমসাগর আমটি জেলার ১৫টি আমবাগান নির্বাচিত করে স্বল্প পরিসরে মাত্র ১২ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করে। আর আম রফতানির জন্য বায়ারদের সঙ্গে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ে চুক্তিবদ্ধ হন জেলার ২৪ জন আমচাষি। যার মধ্যে বিদেশের বাজারে আম দেন মাত্র ১০ থেকে ১২ জন চাষি। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সেসব বাগান থেকে ৪৫ হাজার আম সংগ্রহ করে।
সুস্বাদু হওয়ায় ওই সব দেশগুলোতে এই আমরে চাহিদা বেড়ে যায় দ্বিগুণ। আম রফতানিতে সফল হওয়ায় চলতি মৌসুমে বায়ারদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন প্রায় শতাধিক আমচাষি। ফলে চলতি বছর জেলা থেকে প্রায় ২’শ মেট্রিক টন আম ইউরোপের দেশগুলোতে রপ্তানি করার প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ।
রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদনের লক্ষ্যে চুক্তিবদ্ধ চাষিদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে। আম রপ্তানি নিয়ে কাজ করছেন নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক সংস্থা সলিডারিডেড নেটওয়ার্ক।
ঝাউবাড়িয়া গ্রামের বাগান মালিক শাহীনুর রহমান শাহীন জানান, ৩০ বিঘা আম বাগানে ৩’শ টির ও বেশি হিমসাগর আমের গাছ রয়েছে। গাছে মুকুল আসার পর থেকেই বাগান পরিচর্যার কাজ শুরু হয়েছে। ফলে এ বছর ফলন হয়েছে অনেক ভালো। আঁটি আসার পর থেকেই বাছাই করে আমে ব্যাগ পরানো শুরু হয়েছে। ব্যাগ পরানোর ফলে রোদ-বৃষ্টি কিংবা বাহিরের কোনো পোকামাকড় আমের ক্ষতি করতে পারবে না। ফলে আমটির গঠন অনেক সুন্দর ও সুস্বাদু হবে।
ঝাউবাড়িয়া গ্রামের আম চাষি বাবলু হোসেন জানান, মেহেরপুরের আম দেশের অনান্য এলাকার তুলনায় আগে পরিপুষ্ট হয়ে পেকে যায়, তাই সরকার আম গাছ থেকে ভাঙার যে নির্দিষ্ট সময় রয়েছে তার চাইতে মেহেরপুরের আম অনন্ত ১৫ দিন আগে ভাঙ্গার অনুমোতির দাবি করেন তিনি।
আমদাহ গ্রামের আম চাষি মামুনুর রশিদ জানান, গত বছরে ১৫ হাজার আম দিয়েছিলেন বায়ারদের। ভালো লাভ পাওয়ায় এবার দেড় লাখ আমে ব্যাগ পরানো হয়েছে। কিন্তু চলতি বছরে আম উৎপাদনে খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ। প্রতিটি আমে ব্যাগ পরাতে খরচ হচ্ছে ৪ থেকে ৫ টাকা। আম সংগ্রহ পর্যন্ত রফতানিযোগ্য এক কেজি আম উৎপাদন করতে খরচ দাঁড়াবে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। আবার বায়ররা বাছাইকৃত আম ছাড়া নেবেন না। ফলে ছোট ও দাগসহ আম নিয়ে বিপাকে পড়তে পারে চাষিরা। গত মৌসুমে প্রতি কেজি আমের দাম পাওয়া গেছে ৯৫ টাকা। এ বছরে একই দামের দাবি জানান তিনি।
আম বাগানে আমে ব্যাগিং পরানোর কাজে নিয়জিত শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতিটি আম বাগানে ব্যাগিং এর কাজ করা হয়েছে। প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্র বিভিন্ন বাগানে অবসর সময়ে কাজ করে প্রায় ৩’শ থেকে ৪শ টাকা আয় করেছে।
রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মফিজুর রহমান জানান, ব্যাগে আম সংরক্ষণ করলে বোটা শক্ত হবে এবং আমটি বাইরের যে কোনো ক্ষতিকর অবস্থা থেকে রক্ষা পাবে এবং রঙ নষ্ট হবে না। পাশাপাশি কিটনাশক মুক্ত আম সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। বাইরের দেশে আমটি রপ্তানি হলে চাষিরা দামও ভালো পাবে।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এসএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, হিমসাগর আমটি দেশের সবচেয়ে সুস্বাদু আম। যেহেতু এই আমের বিশেষ খ্যাতি রয়েছে তাই হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপলি আম ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রফতানি করার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
এতে একদিকে যেমন এই আম থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে অন্যদিকে চাষিরাও লোকশানের বদলে লাভবান হবে। তিনি আরো জানান, এই ধারা অব্যহত থাকবে। ইতিমধ্যেই অন্যান্য চাষিদের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো ব্যপক হারে এই আম বিদেশের বাজারে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। নিরাপদ উপায়ে চাষিদের উন্নত মানের আম উৎপাদনের কলা কৌশলের উপর বিশেষ ভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ জানান, যেহেতু এই আমটি শুধুমাত্র মেহেরপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয়ে থাকে এবং আবহাওয়া ও মাটির গুণাগুন ভালো থাকায় আমটি সুস্বাদুও হয়ে থাকে সবচেয়ে বেশি। তাই বাগান মালিক সহ সংশ্লিষ্টদের সাথে বিষয়টি বিবেচনা করে এই আমটিকে মেহেরপুরের ব্রান্ডিং আম করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আমটিকে ব্রেন্ডিং করা হলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি বিদেশের বাজারে এই আমটি বিশেষভাবে পরিচিতি লাভ করবে এবং মেহেরপুর সহ সারা বাংলাদেশের নাম ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়বে।
এছাড়াও ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে কেউ যাতে আম বাজারজাত না করতে পারে সে বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
Comments
- No comments found
Leave your comments