শিবগঞ্জ থেকে প্রতি বছর ১৮ লাখ আমের চারা সরবরাহ করে স্বাবলম্বী ৪শ পরিবার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জের শাহবাজপুর ইউনিয়ন থেকেই সারাদেশে বিভিন্ন ধরনের আমের চারা সরবরাহ করে প্রায় ৪শ পরিবার লাভবান হচ্ছে। সরজমিনে তথ্য নিয়ে জানা গেছে শাহাবাজপুর ইউনিয়নের ধোবড়া একালা সহ আশেপাশের এলাকায় প্রায় ২ হাজার বিঘা জমিতে বিভিন্ন ধরনের আমের চারা উৎপাদন করা হয়ে থাকে। ১৫০টি নার্সারিতে প্রতি বছর প্রায় ৩ কোটি টাকার মূল্যের প্রায় ১৮ লাখ আমের চারা উৎপাদন হয়ে থাকে বলে আমেনা নার্সারির মালিক মতিউর রহমান জানান। সে আরও জানায় ১৫/২০ বছর আগে মান্ধাতা আমলের পদ্ধতিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকার মানুষেরা আমের গাছের ডালে কলম বেধে চারা তৈরী করত। সে কলম চারা পরবর্তীতে জমিতে লাগানো হতো। কিন্তু ১৪/১৫ বছর থেকে আধুনিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের আমের চারা তৈরী করা হচ্ছে। প্রতি বছর এই আমের চারা বিক্রি করে শাহাবাজপুর ইউনিয়নের প্রায় ৪শ টি পরিবার স্বাবলম্বি হয়েছে বলে সোনার বাংলা নার্সারির মালিক মোঃ মাসুদ রানা ও মোঃ ওয়াতিন জানান। উভয় নার্সারির মালিকেরা জানান এ এলাকার মানুষ শুধু আম মৌসুমেই আম ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার পর বাকি মাস গুলো বেকার হয়ে ঘুরে বেড়াতো। কিন্তু আমের চারা উৎপাদন ও বিক্রি করার পর থেকেই এলাকার অনেক বেকার লোকেরা কাজ পেয়েছে। নার্সারী মালিকেরা জানায় জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ় মাসে জমিতে আমের আটি পোতা হয়। সে আটি থেকে নয় মাসের মধ্যে পুরো চারা হয়। সে গুঠি জাত কলম চারাকে টেপ করে জাত কলম চারা তৈরি করা হয়। সে আমের চারা মান অনুযায়ী ১শ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা দামে বিক্রি হয়ে থাকে। এসব আমের চারা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সহ সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় পণ্য ভর্তি ট্রাক চালকের মাধ্যমে কিনে নিয়ে যাওয়া হয়ে থাকে। উৎপাদিত আমের চারার মধ্যে রয়েছে ফজলি, ল্যাংড়া, খিরসাপাত, বোগলাগুটি, গোপালভোগ, ফুনিয়া, বিন্দাবনি, আশ্বিনা, কাতারী ভোগ, আমরুপালী, মোল্লিকা, গোড়মতি, মনমহল ও হাড়িভাঙ্গা সহ ১শ জাতের চারা নার্সারীতে তৈরি হয়। তাদের সরবরাহ কৃত আমের চারা লাগানোর পর ২০/২৫ দিনের মধ্যে মারা গেলে তার পরিবর্তে আবারো চারা দেওয়া হয়ে থাকে নার্সারী মালিকেরা জানায়।
Comments
- No comments found
Leave your comments