বরগুনায় পতিত জমিতে আম চাষ করে সাফল্য
সারা দেশে যখন ‘ফরমালিন’ বিষযুক্ত আমসহ সব ধরনের ফল নিয়ে মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে, তখন বরগুনা জেলার অনেক সচেতন মানুষ বিষমুক্ত ফল খাওয়ার আশায় ভিড় জমাচ্ছেন মজিদ বিশ্বাসের আমের বাগানে। জেলার আমতলী উপজেলার আঠারগাছিয়া ইউনিয়নে শাখারিয়া-গোলবুনিয়া গ্রামে মজিদ বিশ্বাসের ২ একরের আমের বাগান। এ পর্যন্ত তিনি দেড় লাখ টাকার আম বিক্রি করেছেন। শ্রাবণ মাস পর্যন্ত আরও ৫০ হাজার টাকার আম বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তিনি। মজিদ বিশ্বাস জানান, প্রাকৃতিকভাবে সজীব আম উৎপাদনের ল্য নিয়ে ২০০৪ সালে ২ একর পতিত জমিতে কাঁদি কেটে আমের বাগান করেন তিনি। সে সময়ে তার খরচ হয়েছিল ৫০হাজার টাকা। বাগানে চাষ করেন আম্রপালি, ল্যাংড়া, হিমসাগর ও গোপালভোগ জাতের আম। গাছের পরিচর্যায় তিনি প্রাকৃতিক সার, বালাইনাশক ব্যবহার করেন। তিকারক কোনও রাসায়নিক ব্যবহার ছাড়াই ভালো উৎপাদন পাচ্ছেন। কয়েক বছর ধরে বাগানের উৎপাদিত আম মজিদ বিশ্বাসের অর্থনৈতিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটিয়েছে। সব মিলিয়ে তিনি এখন সচ্ছল। ছেলে-মেয়েদের উচ্চশিার জন্য ভালো শিা প্রতিষ্ঠানে পড়াচ্ছেন। মজিদ বিশ্বাসের বাগানের ফরমালিনমুক্ত আম কিনতে নিয়মিত ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। স্থানীয়রা জানান, বাজারের সব ফলই বিষাক্ত। আমাদের এলাকায় স্বাস্থ্যসম্মত ও ফরমালিনমুক্ত আম পাচ্ছি।
শিশুসন্তানসহ পরিবারের সবাই নিশ্চিন্তে এই আম খেতে পারছি। মজিদ বিশ্বাস জানিয়েছেন, স্থানীয় চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাগান আরও বড় করার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। বরগুনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের শস্য উৎপাদন বিশেষজ্ঞ নজরুল ইসলাম মাতব্বর জানান, বরগুনায় পতিত জমিতে আম চাষ করে কীভাবে লাভবান হওয়া যায় ও স্থানীয় চাহিদা পূরণ করা যায় সে বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসগুলো চাষিদের সহায়তা ও পরামর্শ দিচ্ছে।
Comments
- No comments found
Leave your comments