পৃথিবীতে যেভাবে ছড়িয়ে পড়লো আম
প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন দেশের পর্যটকেরা ভারতে আসা যাওয়া করেছেন। তাদের বিবেচনায় আম দক্ষিন এশিয়ার রাজকীয় ফল। জগৎ বিখ্যাত পর্যটক ফাহিয়েন, হিউয়েন সাং, ইবনে হাষ্কল, ইবনে বতুতা, ফ্লাঁয়োসা বর্নিয়ের এরা সকলেই তাদের নিজ নিজ কর্মকান্ড ও লেখনির মাধ্যমে আমের এরুপ উচ্চ গুনাগুনের বর্ণনাই দিয়ে গেছেন। খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে (৬৩২-৬৪৫) চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাং ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল ভ্রমন করেছিলেন। ইতিহাসে সম্ববত: তিনিই প্রথম ব্যাক্তি যার মাধ্যমে বাইরের পৃথিবী বিশেষ করে দূর প্রাচ্য এবং চীন আম সম্পর্কে জেনেছে। হিউয়েন সাং ভারত ভ্রমণ করে যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন এর অনেক বিষয়ের মধ্যে আমের উল্লেখ ছিল বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। মথুরার (উত্তরপ্রদেশ) আম সম্পর্কে তার লেখায় প্রকাশ পেয়েছে যে, সেখানে দুই জাতীয় আম জন্মাত। একটি বড় জাতের অপরটি ছোট জাতের। বড় আকারের আমটি পাকলেও সবুজ থাকে এবং ছোট আকারের আম পাকার পর হলুদ বর্ণ ধারণ করতো। কালিকাপূরাণে উল্লেখ রয়েছে আসামে বিভিন্ন ধরণের ফলের মধ্যে আমের চাষও করা হতো। পাল রাজাদের আমলে পুন্ড্রবর্ধণভুক্তি এবং শ্রীনগরভুক্তিতে আমের চাষও করা হতো। বিজয় সেনের ব্যারাকপুর তাম্র শাসন এবং ভোজবর্মদেবের বেলাভ তাম্র শাসনে উল্লেখ রয়েছে-পুন্ড্রবর্ধনভুক্তিতে আম ও কাঁঠালের চাষ হতো। ফলের মধ্যে আম উত্তর পূর্ব ভারতে ব্যাপকভাবে চাষ হতো। মথুরা থেকে আসাম অবধি আম ভাল জন্মাতো। এসকল তথ্য বরাহ মিহিরের বৃহৎ সংহিতায় রয়েছে।
এরও অনেক আগে খৃষ্টপূর্ব ৩২৭ অব্দে মহাবীর আলেকজান্ডার সিন্ধু অববাহিকায় আমের বাগান এবং আম দেখেছিলেন। ইবনে বতুতা (১৩২৫-১৩৪৯) ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরেছেন। তিনি বিশেষ করে বাংলাদেশে অনেক দিন ছিলেন। তার বর্ণনায় বাংলাদেশে আমের উল্লেখ রয়েছে। জর্দানুস (১৩৩০) আমকে আম্বা (ধসনধ) বলে উল্লেখ করেছেন তার স্মৃতিমূলক লেখা মীরাবিলিস ডেসক্রিপ্টা Mivabilis Deseripta নামক গ্রন্থে। যেভাবে আম বিশ্বের বিভিন্ন মহাদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল তা নিম্নে সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হলঃ-
আফ্রিকায় আমঃ
আমকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে সবচেয়ে বেশি পরিচিত করেছেন আরব বণিক এবং মুসলিম মিশনারীগণ। আরব বনিকেরা সিলেট ও আসাম থেকে কমলা লেবুর বীজ এবং চারা জাহাজে করে নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন-তেমনি তারা ভারত থেকে আমের চারা ও বীজ সংগ্রহ করে প্রথমে আফ্রিকা মহাদেশের ট্যাাঙ্গাঁনাইকা (তাঞ্জানিয়া), সোমালিয়া, কেনিয়া, মাদাগাস্কার ইত্যাদি অঞ্চলে ছড়িয়ে দেন। এভাবেই আম ছড়িয়ে পরে পশ্চিম আফ্রিকার গিনি, আইভরিকোষ্ট, সিয়েরালিও, মালি, আপার ভোল্টা ইত্যাদি দেশসমূহে। ইবনে বতুতার বর্ণনায় জানা যায় তিনি চতুর্দশ শতকে (১৩৩১) মোগাডিসুতে (সোমালিয়ার রাজধানী) আমগাছ দেখেছেন।
মধ্যপ্রাচ্যে আমঃ
ইসলামের স্বর্ণযূগেই ওমানে আম গাছ পৌছে যায়। আরব মিশনারীগণ পঞ্চদশ শতকে আমের বীজ ও চারা প্যালেষ্টাইনে নিয়ে গেছেন বলে জানা যায়। ষোড়শ ও সপ্তদশ শতাব্দীতে আরবদের মাধ্যমে আম পারস্য উপসাগর এবং ইয়ামেনে বিস্তৃতি লাভ করে। মিশর ১৮২৫ সালে মুম্বাই থেকে মুকুলিত চারাগাছ আমদানি করে তাদের দেশে রোপন করে। এই আমগাছগুলোকে তারা সাফল্যের সাথে বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হয়। সেখান থেকেই দেশটির আম চাষে খড়ি। মিশরের মধ্য অঞ্চল এবং নীল নদের ভাটিতে বেশী আম উৎপাদন হয়। দেশটির ভাল ভাল প্রায় সকল জাতের আম এসেছে ভারত থেকে। প্রথম বিশ^যুদ্ধের কিছুকাল পূর্ব থেকেই ইসারইল এবং প্যালেষ্টাইনে এই অঞ্চলে আম চাষ শুরু করার প্রচেষ্টা চলে। কিন্তু আমের চারাগুলো তারা বাঁচাতে পারেনি। এর পর প্রফেসর ওয়ার বার্গ ১৯২৯ সালে মিশর থেকে বেশ কিছু মিশ্র জাতের আমের বীজ সংগ্রহ করে ইসরাইলে এনে বপন করে। এই বার কিন্তু সাফল্য এসে গেলো। এই গাছগুলো থেকে প্রথমে আম ধরা শুরু হয়েছিলো ১৯৩৩ সালে। ১৯৩৩ সাল থেকে শুরু করে পরবর্তীকালে মিশর, জাভা (ইন্দোনেশিয়া), দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ফ্লোরিডা (ইউএসএ) থেকে বিভিন্ন জাতের আমের চারা ইসরাইলে চলে আসে। এভাবেই দেশটি আম চাষে এগিয়ে যায়।
আমেরিকা মহাদেশে আম চাষঃ
পর্তূগীজরা গোয়া থেকে প্রথমে আমের চারা ও বীজ দক্ষিন আফ্রিকায় নিয়ে গিয়েছিলো। সেখান থেকে খ্রিষ্টীয় ১৭০০ শতাব্দীতে পর্তূগীজরা ইতিপূর্বে ভারতবর্ষ থেকে নিয়ে যাওয়া আমের চারা ও বীজ ব্রাজিলে রোপণ করে। ১৭৬৮ সালে ক্যাপ্টেন কুক ব্রাজিলের রিও-ডি-জেনিরোতে প্রচুর আম দেখেছেন। আনুমানিক ১১৭৪২ সালে বার্বাডোসে আম পরিচিতি লাভ করে। জ্যামাইকাতে আমের অনুপ্রবেশের ঘটনাটি বেশ রোমঞ্চকর এবং উল্লেখ করার মতো। ১৭৮২ সালে ক্যাপ্টেন মার্শাল রাজকীয় জাহাজ ’ফ্লোরার’ মাধ্যমে জ্যামাইকা দ্বীপের কাছা কাছি সমুদ্রে একটি ফ্রান্সের জাহাজ আটক করেন। ফ্রান্সের জাহাজটি ভারত মহাসাগরের দ্বীপ মরিশাস থেকে যাত্রা করে আটলান্টিক মহাসাগরের দ্বীপ হাইতির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। জাহাজটিতে অন্যান্য মালামালের সাথে বিভিন্ন ফলের এবং গাছের প্রচুর চারা ও বীজ ছিলো। এইরূপ ১১ নং চালানে ছিল আম, আমের বীজ এবং চারা। ক্যাপ্টেন ১১ নং চালানটি জাহাজ থেকে নামিয়ে জ্যামাইকায় বসাবসরত মি: হিনটন ইষ্টের বাগানে পৌঁছে দেন। জ্যামাইকার এই বাগানটিতেই প্রথম আম চাষ শুরু হয় । এরপর ১৮৬৯ সালে ভারত থেকে অন্তত: ২২ জাতের ভাল আমের কলম চারা জ্যামাইকাতে এনে রোপণ করা হয়। ১৮৮৪ সালে ফ্রান্সের উপনিবেশ মার্টিনিক দ্বীপের (আটলান্টিক মহাসাগর) বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে ১১ জাতের কলম চারা জ্যামাইকার বিভিন্ন এলাকায় রোপণ করা হয়। এক পর্যায়ে এমন ধারণা জন্মালো যে আম ফলটি জ্যামাইকার নিজস্ব এবং এদের স্বদেশজাত। বর্তমান জ্যমাইকার আমের সংস্কৃতি তাদের সামাজিক জীবনে এমন গভীর প্রোথিত যে, ফলের বিষয়ে জ্যামাইকাবাসী আমের অনুপস্থিতি কল্পনাও করতে পারে না।
মেক্সিকোতে আম খুব ধীরে ধীরে অথচ বেশ সাফল্যের সাথেই প্রবেশ করেছে। প্রথম অবস্থায় দুইটি উৎসের মাধ্যমে মেক্সিকোতে আম গেছে। একটি হচ্ছে ফিলিপাইন। ১৭৭৯ সারের কিছু কাল পূর্ব থেকে উঁচু পশ্চাভাগ বিশিষ্ট স্পেনীয় পালতোলা বাণিজ্যিক জাহাজগুলো ম্যানিলা (ফিলিপাইনের রাজধানী) থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের বুক বেয়ে সরাসরি মেক্সিকোর দক্ষিণ পশ্চিম উপকূলের সামুদ্রিক বন্দর আকাপুলকো (অপধঢ়ঁষপড়) পর্যন্ত যাতায়াত করতো। এই জাহাজগুলোতে অন্যান্য মালামালের সাথে ফিলিপাইন থেকে ভালো জাতের আমের চারা ও বীজ বহন করা হতো। এভাবেই মেক্সিকোতে আমের চাষ শুরু হবার দ্বিতীয় উৎসটি ছিলো ঊনবিংশ শতাব্দীতে পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের বিভিন্ন দ্বীপ থেকে পাওয়া ভাল ভাল জাতের আমের বীজ ও চারা। মেক্সিকো ছিলো স্পেনের উপনিবেশ।
হেনারী পেরিন নামের জনৈক ব্যাক্তি মেক্সিকো থেকে বেশ কিছু আমের চারা সংগ্রহ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কয়েকটি বাগানে রোপণ করেন। সেটি ছিলো ১৮৩৩ সাল । যদিও ফ্লোরিডার আবহাওয়া আম উৎপাদনের জন্য অনুকূল ছিল। কিন্তু আমের চারাগুলো বাঁচানো সম্ভব হয়নি। কারণ নতুন পরিবেশে চারাগুলো প্রকৃত যত্ন পায়নি। এছাড়া এই সময়টিতে সেখানে যুদ্ধ চলছিল। যুদ্ধের আগুনেও অনেক গাছের ক্ষতি হয়েছিলো। যাহোক দীর্ঘ ২৮ বছর পেরিয়ে যায়। ১৮৬১-১৮৬২ সালে ডা. ফ্লেচার আরেকবার চেষ্টা করলেন আমেরিকার মূল ভূ-খন্ডে আমচাষ প্রবর্তনের। তার এই প্রচেষ্টা সামন্যই সফলতার মুখ দেখেছিলো। তিনি আমের বীজ সংগ্রহ করে ফ্লোরিডার দক্ষিণ পূর্ব উপকূলে রোপন করলেন। বীজ থেকে যে চারাগুলো জন্মেছিলো এর মধ্যে মাত্র একটি গাছে আম ধরে ছিলো। ফেøারিডার পশ্চিম উপকূলে সাফল্য জনকভাবে আম চাষ শুরু হয়েছিলো ১৮৭৭ সালে। ১৮৮৫ সালে ভারত থেকে উন্নতজাতের কলমের চারা এনে ফ্লোরিডায় চাষ শুরু হয়েছিলোত কিন্তু চারাগুলো বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এরপর ১৮৮৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি অধিদপ্তরের অধীনে ফল বিষয়ক বিভাগের উদ্যেগে কলকাতা থেকে ৩৫টি ভাল জাতের চারা আমদানি করে ফ্লোরিডায় রোপন করা হয়। এগুলো কিন্তু টিকে গেলো। ১৯০০ সালের দিকে ফিলিপাইন, মালয় ও কিউবা থেকেও আমের চারা ফ্লোরিডায় গেছে। প্রথম অবস্থায় ফ্লোরিডায় ভাল জাতের আম প্রবেশ করেনি। বীজ থেকে বেড়ে উঠা আঁশ জাতীয় আম গাছের সংখ্যাই ছিল অধিক। আম গাছকে সে দেশ দীর্ঘকাল ছায়াবৃক্ষ হিসেবে ব্যবহার করেছে। ভারত ফিলিপাইন এ সকল দেশ থেকে ভালজাতের আম প্রবেশের পর সেখানে গবেষণা শুরু হলো। প্রথম ভাল যে জাতের আমটি ফেøারিডা পেয়েছিলো সেটি ছিলো মালগোভা। এরপর ফ্লোরিডা আম নিয়ে বাস্তবধর্মী গবেষণা শুরু করে। সেখানকার আম বিজ্ঞানী রিসোনার ভাতৃদ্বয় এবং ডেভিড ফেয়ারচাইল্ড এদের প্রচেষ্টায় পঞ্চাশেরও অধিক ভাল জাতের আম ফ্লোরিডা অঞ্চলে উদ্ভব ঘটল এবং এগুলোর ব্যাপক চাষাবাদ শুরু হলো। উদ্ভাবিত আমের জাতগুলো হচ্ছে পেইরী, আমিনী, হ্যাডেন, পামার, জিল, ব্রুকস, রুবী, জুলী, সায়গণ, ক্যারাবু, টমিএ্যাটকিনসন ইত্যাদি। এরপর ফ্লোরিডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্ণিয়ার উষ্ণমন্ডলীয় অঞ্চলে আম চাষ বর্দ্ধিত হতে থাকে। বর্তমানে আমরেকিার বড় বড় শহরের ফলের দোকানগুলোতে আম প্রধান একটি ফল হিসেবে নিজের স্থান স্থায়ী করে নিয়েছে। ফ্লোরিডা ও ক্যালিফোর্ণিয়াতে প্রধান ফল আম। ফ্লোরিডার পামবীচ, ব্রেয়ার্ড, ডেডকাউন্টি, ব্রিভার্ড, পাইনাস, লীকাউন্টি এসকল এলাকায় ব্যাপকভাবে আমের চাষ হয়ে থাকে।
ইউরোপে আমঃ
আম শুধুমাত্র ইউরোপ মহাদেশে ভালোভাবে ঘাঁটি গেরে বসতে পারেনি। ইউরোপের আবহাওয়া আম চাষের জন্য মোটেই অনুকূল নয়। তবুও একদল আম উৎসাহী আমের চারা ও বীজ ইংল্যান্ডে নিয়ে কাঁচের ঘরে রেখে চাষ শুরু করেন। সেখানে আমের গাছ এই পদ্ধতিতে ১৬৯০ খৃষ্টাব্দে জন্ম নিয়েছিলো কিন্ত আম ধরেনি। তবে সেখানকার নিউ গার্ডেনের কয়েকটি আম গাছে আম ধরেছিলো ১৮০৪ সালে। শেষমেষ ইংল্যান্ডে আম চাষ সফল হয়নি।
পর্তূগীজ, স্পানিশ, ডাচ, ফ্রেঞ্চ, ইংলিশ এরা সকলেই দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া থেকে আমের বীজ ও চারা নিজেদের উষ্ণমন্ডলীয় উপনিবেশগুলোতে নিয়ে গিয়ে সাফল্যের সাথে আমের চাষ শুরু করেছিলেন। তবে তাদের নিজ নিজ দেশে সম্ভব হয়নি আবহাওয়ার কারনে। ইউরোপে পাকা আম নিয়ে যাবার ব্যবস্থাও ছিলো না। জাহাজে যেতে যে সময় লাগতো তার অনেক আগেই আম যেত পঁচে। সে আমলে ইউরোপে খাবার উপযুক্ত আম পৌছাতে সক্ষম না হলেও কিন্তু সেখানকার অনেক নাগরিক নাবিকদের মাধ্যমে আম সম্পর্কে গুনেছিলেন এবং জেনেছেন। স্বাভাবিকভাবেই অনেকের মনের মধ্যেই এই মনোলোভা ফলটির আস্বাদ গ্রহণের ইচ্ছা জাগতো।
তবে আম চাষে স্পানীয়রা কিছুটা সাফল্য লাভ করে। প্রথম দিকে স্পেনীয়রা আমের বীজ ও চারা তাদের দেশের মূলভূখন্ডে রোপন করার চেষ্টা করে। প্রায় সব এলাকাতেই বিফল হবার পর আন্দালুশিয়ায় সফল হয়েছিল। কেননা এখানকার আবহাওয়া ছিলো কিছুটা উষ্ণ। স্পেনের মালাগা প্রদেশে এখন অনেক ভাল ভাল জাতের আম উৎপন্ন হচ্ছে।
এভাবেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ দেশান্তরে আম ছড়িয়ে পড়েছিলো। আজ বিশ্বের অন্যতম একটি লোভনীয় ফল হলো আম। ফল উৎপাদনের দিক দিয়ে আম বিশ্বের চতুর্থ উৎপাদিত ফল। আজ এর জনপ্রিয়তা প্রশ্নতিত।
Comments
- No comments found
Leave your comments