দেশের চাহিদা মিটিয়ে ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাবে উত্তরাঞ্চলের আম। এমন আশায় বুক বেধেছিলেন আম চাষীরা। তাদের স্বপ্ন পূরণে অল্প পরিসরে কয়েক বছর ধরে ইউরোপে আম রপ্তানিও শুরু হয়েছিলো। বাংলাদেশের আম অন্যসব দেশের আমের চেয়ে সুস্বাদু হওয়ায় বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছিল। দেশি-বিদেশি অনেক রপ্তানিকারক যোগ দিচ্ছিলেন। কিন্তু আম বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে জটিল প্রক্রিয়ার কারণে আম চাষিদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। গত বছর ২০০ মেট্রিকটন আম রপ্তানি হলেও চলতি বছর রপ্তানি হয়েছে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ মেট্রিকটন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৬ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে শিবগঞ্জেই ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। এর মধ্যে নিরাপদ, রপ্তানিযোগ্য ও ও স্বাস্থ্যসম্মত আম উৎপাদন হবে প্রায় ১৮ হাজার মেট্রিক টন। গত বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রায় ২০০ মেট্রিক টন আম রপ্তানি হলেও এবার বেশি হওয়ার আশা করেছিলেন চাষিরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা পূরণ হবে কি-না তা বলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। গত বছর রপ্তানিকারকরা নির্ধারিত ও তালিকাভুক্ত আমবাগান মালিকদের কাছ থেকে সরাসরি কীট ও বালাইনাশকমুক্ত আম বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করেছিলো। এবার নানান জটিলতার মুখে পড়েছেন আম ব্যবসায়ীরা। একাধিক আম রপ্তানিকারক বলেন, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের তালিকাভুক্ত আম চাষিদের বাগান থেকে প্যাকেট করা ও রপ্তানিযোগ্য ও নিরাপদ আমের মধ্যে রপ্তানিকারক বাছাই করে চাষিদের প্রায় ৬০ ভাগ বাদ দিয়ে ৪০ ভাগ ঢাকায় শ্যামপুরে সেন্ট্রাল প্যাকিং সেন্টারে রপ্তানির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আবার বাছায়ের নামে আমের উপর সামান্য দাগ থাকায় বাদ দিয়ে ফেরত পাঠাচ্ছে। এতে চরম ক্ষতির মধ্যে পড়ছেন রপ্তানিকারকসহ বাগান মালিকরা। সবমিলিয়ে জটিলতা ও শর্তের কারণে গ্যাঁড়াকলে পড়েছেন রপ্তানিকারকরা। সুইডেন থেকে এক মাস আগে বাংলাদেশের নাচোলে এসেছিলেন দোজা নামের এক ব্যবসায়ী। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, গত বছর থেকে বাংলাদেশের আম সুইডেন, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ২৮ মেট্রিক টন রপ্তানি করা হয়েছিল। চলতি বছর এর দ্বিগুণ রপ্তানি করার পরিকল্পনা নিয়ে দেশে এসেছিলেন তিনি। চলতি বছর ইউরোপে আম পাঠাতে বাংলাদেশের নতুন করে শর্ত আরোপ করে। এবার ক্যারেটে করে কৃষি বিভাগের ঢাকার শ্যামপুর প্ল্যান করেন্টাইন উইংয়ে নিয়ে যাওয়ার পর শুরু হয় বাছাই। আর বাছায়ের নামে চলে অযাচিত হয়রানি। সে কারণে তিনি এবার আম রপ্তানি না করে গত সপ্তাহে সুইডেন ফিরে যান। চাঁপাইনাবাবঞ্জের শিবগঞ্জ এলাকার এক আম রপ্তানিকারক জানান, কয়েকদিন আগে চাষির বাগান থেকে রপ্তানির জন্য ঢাকার শ্যামপুরে সেন্ট্রাল প্যাকিং সেন্টারে ৭৯০ কেজি আম নিয়ে যাওয়ার পর ৪০০ কেজিই বাদ দিয়ে দেয় সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্তরা । অথচ এসব আম গতবারের চেয়ে আরো বেশি ভাল ছিল। বাদ দেয়া সে আমগুলো নিয়ে মহাবিপাকে পড়তে হয়েছিল। শিবগঞ্জ এলাকার কয়েকজন তালিকাভুক্ত আম চাষী বলেন, গতবারের চেয়ে এবার রপ্তানির লক্ষে অনেক বেশি আকারে আম উৎপাদন করেছে চাষীরা। এবার আম নেয়ার ক্ষেত্রে যেসব শর্ত ও বিবরণ দিচ্ছে তাতে আম দিলে অনেক লোকসান ও ক্ষতির মধ্যে পড়তে হবে। যেসব আম চাইছে তা দেয়ার পর নব্বই ভাগই বাদ পড়ে যাবে। এসব আম স্থানীয় ক্রেতাদেরও কেনার সামর্থের বাইরে। তাহলে এই নব্বইভাগ নিয়ে চাষীদের পড়দে হচ্ছে লোকশানের মুখে। আম চাষীরা অভিযোগ করেন, রপ্তানিকৃত আমের মধ্যে হিমসাগর, ল্যাংড়া ও লক্ষèা পেকে গেছে। ৪/৫ দিনের মধ্যে রপ্তানির জন্য শিথিলতা করে না দিলে পচে সব শেষ হয়ে যাবে। এবার রপ্তানিযোগ্য করার জন্য লাখ লাখ টাকা খরচ করে ম্যাংগো প্রটেকশন ব্যবহার করায় অনেক বেশি খরচও হয়ে গেছে। এ বিষয়ে ঢাকা খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের করেন্টাইন সংগনিরোধ কীটতত্ব বিভাগের উপ-পরিচালক আনোয়ার হোসেন খান জানান, নিয়ম মেনেই আম যাচাই-বাছাই করেই আম বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানি কমার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত বছর ২৮৮ মেট্রিক টন আম রপ্তানি হয়েছিল। চলতি বছর কত মেট্রিকটন হবে সময় শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না।
ফলের রাজা আম। আর আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ। দেশের সর্ববৃহত্তর অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যলয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। এ জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল আম। বর্তমানে জেলা সবখানে চলছে বাগান পরিচর্যা ও বেচা-কেনা। বর্তমানে জেলার ২৪ হাজার ৪৭০ হেক্টর আম বাগানে ৯০ ভাগ মুকুল এসেছে। ...
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমবাগানগুলোতে আমের ‘মাছিপোকা’ দমনে কীটনাশক ব্যবহার না করে সেক্স ফেরোমেন ফাঁদ ব্যবহার শুরু হয়েছে। পরিবেশবান্ধব এই ফাঁদকে কোথাও কোথাও ‘জাদুর ফাঁদ’ও বলা হয়ে থাকে। দু-তিন দিকে কাটা-ফাঁকা স্থান দিয়ে মাছিপোকা ঢুকতে পারে, এমন একটি প্লাস্টিকের কনটেইনার বা বোতলের ...
বাড়ছে আমের চাষ। মানসম্পন্ন আম ফলাতে তাই দরকার আধুনিক উত্পাদন কৌশল। আম চাষিদের জানা দরকার কীভাবে জমি নির্বাচন, রোপণ দূরত্ব, গর্ত তৈরি ও সার প্রয়োগ, রোপণ প্রণালী, রোপণের সময়, জাত নির্বাচন, চারা নির্বাচন, চারা রোপণ ও চারার পরিচর্যা করতে হয়। মাটি ও আবহাওয়ার কারণে দেশের ...
বলার অপেক্ষা রাখেনা দর্শক নন্দিত ও জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি। প্রতি পর্বে চমক নিয়ে দর্শকের সামনে আসে অনুষ্ঠানটি। স্টুডিওর বাইরে এসে দেশের ঐতিহ্যমণ্ডিত স্থানে ‘ইত্যাদি’র উপস্থাপনা সর্বদাই প্রশংসিত। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ২৯ এপ্রিল প্রচারিতব্য পর্বটি ধারণ করা ...
পাকা আম এক কেজি নিয়ে খোসা ফেলে আম গুলো ডুবো পানিতে সিদ্ধ করবেন। পানি শুকিয়ে অর্ধেক হয়ে আসলে আম গলো তুলে রস বার করে মোটা ছাকনিতে ছেকে নিন যাতে আশ গুলো রসে না আসে।এরপরে আধকেজি চিনি দিয়ে আমের রস আর সিদ্ধকরা পানি চুলোয়ে বাসন। ফুটে উঠে যখন সাদা ফেনা উঠবে তখন এরমধ্যে দুই টেবিল চাম লেবুর রস দিয়ে নাড়তে থাকবেন। এভাবে ১০/১২ মি: জ্বাল করে দেখতে হবে জেলি হলো কিনা। এটা চেক কারা সহজ একটা সিস্টেম আছে। ...
উঁচু উঁচু পাহাড়। শান্ত নির্জন। সবুজের বিস্তার। ঢাল-চূড়ায় সারি সারি আমগাছ। গাছে থোকায় থোকায় আম। কোনো কোনোটি ফলভারে নুয়ে পড়েছে। বাঁশের ঠেস দিয়ে রক্ষা। গাছতলায়ও পড়ে আছে আম। চারপাশে শুধু আম আর আম। বাতাসে তার মিষ্টি সুবাস। বান্দারবানের লামার সরই ইউনিয়নের কেঁয়াজুপাড়ায় এই আমরাজ্যটি গড়ে তুলেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মেরিডিয়ান অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ। পতিত পাহাড়ের জঙ্গল সাফসুরত করে ফলের ...
বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে প্রিয় ফল আম। এতে কারো দ্বিমত আছে বলে মনে হয় না। কারণ আম এমনই একটি ফল যাতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি, মন মাতনো স্বাদ আর গঠন-প্রকৃতিতে অপরূপ সৌন্দর্য। আম বাংলাদেশের জাতীয় ফল না হলেও এদেশে উৎপাদিত ফলসমূহের মধ্যে আমের স্থান সবার উপরে। গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের সর্বত্র উৎকৃষ্টমানের বিভিন্ন ধরনের আম উৎপাদন করা সম্ভব। প্রায় সব ধরনের মাটি যেমন- দো-আঁশ, বেলে দো-আঁশ, এঁটেল, ...
এটি নাবিজাতের আম। উৎকৃষ্ট এবং উচ্চ মানসম্পন্ন এই আমটি শংকর জাতের। উত্তর ভারতের (লখৌন অঞ্চল) বিখ্যাত আম দু’সেহরী এবং দক্ষীণ ভারতের অপর একটি বিখ্যাত জাত নীলম। এই দুইটির মধ্যে শংকরায়ণ ঘটিয়ে আম্রপালির জন্ম। ফল বিজ্ঞানীগণ নীলম জাতের পুরুষ মুকুল এবং দু’সেহরী জাতের স্ত্রী মুকুলের মধ্যে পরাগায়ণ ঘটিয়ে সৃ্ষ্টি করেছেন মনলোভ অভিজাত শ্রেণীর আম আম্রপালি। ১৯৭৮ সালে আমটির নামকরণ করে ভারতে প্রথম ছাড় হয়েছে। ফলটির ...
ক্যালসিয়াম কার্বাইড এক ধরণের রাসায়নিক পদার্থ। এটি এক ধরনের যৌগ যা বাতাসে বা জলীয় সংস্পর্শে এলেই উৎপন্ন করে এসিটিলিন গ্যাস। যা ফলে প্রয়োগ করলে এসিটিলিন ইথানল নামক বিষাক্ত পদার্থে রুপান্তরিত হয়।
আপনি জান গ্রামে গন্জে যেখানে যত রিমোট এরিয়া আছে, কাউকে জিজ্ঞাসা করেন - ভাই কার্বাইড কি ? দেখবেন বলে দিয়েছে । মানে এমন অনেক অশিক্ষিত লোক পাবেন যারা আম , কলা পাকানোর কেমিক্যাল কার্বাইড চেনে । ...
চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার আম বাগানগুলোতে যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে রাসায়নিক পদার্থ ‘কালটার’। এ কারণে আম বাগানগুলো ধ্বংসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে সম্প্রতি পাঠানো এক বিশেষ প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার আম চাষের ঐতিহ্য ও সম্ভাবনার ক্ষেত্রে সম্প্রতি একটি নতুন হুমকি দেখা দিয়েছে। ...
বার উত্তরাঞ্চলের আবহাওয়া আম উৎপাদনের খুব একটা অনুকূল না থাকলেও আমের বাজারে তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। দিন যত যাচ্ছে জমে উঠছে রাজশাহীর আমের বাজার। অপেক্ষার প্রহর শেষ করে রকমারি স্বাদের আম কোটি কোটি মানুষের রসনা মেটাতে প্রস্তুত। রাজশাহীতে কেমিক্যালমুক্ত আমের সরবরাহ নিশ্চিত করতে কেউ যেন অপরিপক্ক আম না পাড়ে সেদিকে বিশেষ নজর রেখেছিল জেলা প্রশাসন। গত ২৫শে মে সে বিধি আরোপ উঠে যেতেই আম ...
চলছে মধু মাস জ্যৈষ্ঠ। রাজধানীর ফলের বাজার এখন পুরোটাই দেশি ফলের দখলে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই ট্রাক-পিকআপে ভরে রাজধানীতে প্রবেশ করছে মধু ফল আম, জাম, কাঁঠাল ও লিচু।
রকমারি স্বাদ, রং, রূপ ও বৈচিত্র্যের এসব দেশি ফলের মৌ মৌ ঘ্রাণে ভরপুর রাজধানীর সর্বত্র। তবে স্থান ও অঞ্চল ভেদে খুচরা বাজারে আমের দামে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। এমনকি এক মিনিটের দূরুত্ব এমন দুই স্থানের মধ্যেও কেজিপ্রতি ৩০ ...
উপমহাদেশে ফলের রাজা আম৷ এ বিষয়ে দ্বিমত থাকতে পারে না৷ তার মধ্যে ভারতের কয়েকটি রাজ্যের আমের খ্যাতি ভুবনজোড়া৷ স্বাদে, গন্ধে আর রঙের বাহারে মন কেড়ে নেয়৷ উত্তর প্রদেশের দশেরি, ল্যাংড়া আর চৌষা জাতের আম তো ‘একম অদ্বিতীয়ম’! default উত্তর প্রদেশের আমের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাদশাহি খানদানের ইতিহাস উত্তর প্রদেশের আমের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাদশাহি খানদানের ইতিহাস৷ যেমন আমের রাজা দশেরির কথাই ধরা যাক৷ উত্তর ...
হিমসাগর, গোপালভোগ, লখনার মতো উন্নতজাতের আমগুলো বেশ কিছু দিন আগেই বাজার থেকে বিদায় নিয়েছে। এখন বাজারে বেশি পরিমাণে আছে ফজলি ও আশ্বিনা। স্বল্প পরিমাণে আছে আম্রপালি ও ল্যাংড়া। আম শেষ হয়ে আসায় ছোট হয়ে এসেছে আমের বাজার। ফলে এই মুহূর্তে আমের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহ থেকে আমের দাম বাড়তির দিকে। গতকাল শনিবারও মণে ১০০ টাকা বেশিতে আম বিক্রি হয়েছে। বাগানে আম প্রায় শেষ ...
Leave your comments