১ লাখ টন আম রফতানির লক্ষ্যমাত্রা পাকিস্তানের
আন্তর্জাতিক ব্যবসা ১ লাখ টন আম রফতানির লক্ষ্যমাত্রা পাকিস্তানের বণিক বার্তা ডেস্ক | ০০:০০:০০ মিনিট, মে ১৮, ২০১৬ Share চলতি মাসের ২০ তারিখ থেকে পাকিস্তানে আম রফতানির মৌসুম শুরু হবে। বিষয়টি সামনে রেখে দেশটির আম ব্যবসায়ীরা বেশ আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। আমচাষীরা আশা করছেন, চলতি বছর তারা কমপক্ষে এক লাখ টন আম রফতানি করতে পারবেন। বিনিময়ে তারা ৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করবেন বলে আশা করছেন। খবর ডন। চলতি বছর পাকিস্তানে আম উৎপাদনের প্রত্যাশিত মাত্রা ১৬ লাখ টন। গত বছর ব্যবসায়ীরা এক লাখ টন আম রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলেন। তবে এ সময় ফলটির উৎপাদন ৪০ শতাংশ কম থাকায় সে লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়নি। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের আম রফতানির পরিমাণ ছিল ৭২ হাজার টন, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অবশ্য পাকিস্তান ফ্রুট অ্যান্ড ভেজিটেবল এক্সপোর্টারস, ইম্পোর্টারস অ্যান্ড মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (পিএফভিএ) চেয়ারম্যান ওয়াহিদ আহমেদ চলতি বছরের জন্য আম রফতানির আগের লক্ষ্যমাত্রাই নতুন করে নির্ধারণ করেছেন। পাকিস্তান বহু বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, হংকং, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কানাডা, ইউরোপ ও স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোয় আম রফতানি করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার বাজারে পাকিস্তানি আম রফতানির যথেষ্ট সুযোগ তৈরি হয়েছে। ঐতিহ্যগত এসব বাজারের পাশাপাশি দেশটি রাশিয়া, বেলারুশ, ইরান ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় নতুন বাজার তৈরি করতে চাইছে। অবশ্য প্রয়োজনীয় ভ্যাপার হিট ট্রিটমেন্ট (ভিএইচটি) প্লান্টের ব্যবহার না থাকার দরুন পাকিস্তান তিন বছর ধরে জাপানের বাজারে আম রফতানি করতে পারছে না। অথচ দেশটিতে পাকিস্তানি আমের সম্ভাব্য দর কেজিপ্রতি ৪ ডলার। ওয়াহিদ আহমেদ জানান, কয়েক লাখ রুপি খরচ করে ভিএইচটি প্লান্ট আমদানি করা হলেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম শুরু না করায় তিন বছর ধরে এটি অব্যবহূত অবস্থায় পড়ে আছে। এছাড়া এ খাতে গবেষণা ও উন্নয়নের রেওয়াজ না থাকায় পাকিস্তানি রফতানিকারকরা গুণ ও মানের ভিত্তিতে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
Comments
- No comments found
Leave your comments