আমের ওজন ৪ কেজি!
মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালী গ্রামের নার্সারি ব্যবসায়ী আতিয়ার রহমান তার গাছে প্রতিটি ৪ কেজি ওজনের আম ফলিয়ে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। ব্রুনাই থেকে আনা কলম ডাল গ্রাফটিং করে গাছ তৈরি ও তা থেকে ফলানো বিশালাকৃতির আম দেখতে অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন তার বাগানে ভীড় করছেন।
আতিয়ার রহমান জানান, দুই যুগ ধরে তিনি নার্সারি ব্যবসার পাশাপাশি ফল ও ফুলের বাগান করে আসছেন। বর্তমানে তার ১ বিঘা জমিতে আম, কাঁঠাল, পেয়ারা, জাম, জামরুল, কমলা, মাল্টাসহ নানা জাতের ফল গাছ ও ফুলের বাগান রয়েছে। পাশাপাশি ৬ বিঘা জমির উপর রয়েছে নার্সারি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নতুন নতুন জাতের ফল, ফুলের বীজ, চারা বা কলম সংগ্রহ করে বাগান সম্প্রসারণ ও সমৃদ্ধ করা তার নেশায় পরিণত হয়েছে। ৫ বছর আগে তিনি জানতে পারেন প্রতিবেশী ব্রুনাই প্রবাসী ইব্রাহীম নামে এক ব্যাক্তির বাড়িতে একটি আমের গাছ রয়েছে। যে গাছের প্রতিটি আমের ওজন ২-৩ কেজি। ইব্রাহীমের বাড়িতে গিয়ে ওই গাছ থেকে কলম ডাল সংগ্রহ করে আতিয়ার রহমান তার বাগানের একটি ফজলি আম গাছে গ্রাফটিং করেন। ২ বছরের মাথায় গাছে প্রথম আমের মুকুল আসে। পরের বছর ৩ থেকে ৪ কেজি ওজনের ৫টি আম ধরে। গত বছর ও গড়ে ৪ কেজি ওজনের ১১টি আম ধরেছিল। এ বছর তার গাছে ২০ থেকে ২৫ টি এসেছিল। বর্তমানে তার এ গাছে ১৫ টি আম রয়েছে।
তার বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, গাছে বিশালাকৃতির ১৫টি আম শোভা পাচ্ছে। যার প্রতিটির ওজন প্রায় ৪ কেজি করে। যে আম পাকতে আরো ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগবে। এ ক’দিনে এ আমের ওজন ৪ কেজি ছাড়িয়ে যাবে।
বর্তমানে নিজ জেলাসহ নড়াইল, যশোর, ঝিনাইদহ জেলা থেকে অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন আতিয়ার রহমানের বাগানে ভীড় করছেন বিশালাকৃতির এ আম দেখতে। কেউ কেউ শখের বশে এক একটি আম কিনতে দাম হাকিয়েছেন ৫শ’ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত। আবার অনেকে আম গাছের কলমের জন্য ঘুরছেন আতিয়ার রহমানের কাছে।
অতিয়ার রহমান জানান, গত বছর তিনি ওই গাছ থেকে অল্প সংখ্যক কলম তৈরি করেন। প্রতিটি কলম তিনি ৫শ’ টাকা বিক্রয় করেছেন। এবছরও তিনি কিছু কলম তৈরি করেছেন। আগামী বছর বাণিজ্যিকভাবে উচ্চ ফলনশীল জাতের এ আমের কলম তৈরি করে বাজারজাত শুরু করবেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পার্থ প্রতিম সাহা জানান, তারা বিষয়টি জেনেছি। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে এ আম চাষের বিস্তৃতি ঘটানোর ব্যবস্থা করা হবে।
Comments
- No comments found
Leave your comments