আম পৌঁছাতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কুরিয়ার সার্ভিস
কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে রাজশাহীর আম যাচ্ছে দেশের নানা প্রান্তে। আমকে কেন্দ্র করে এই মৌসুমে প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয় স্থানীয়ভাবে। এতে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা। অবশ্য ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, আমকেন্দ্রিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সম্ভব হলে পাল্টে যাবে জীবনযাত্রার দৃশ্যপট।
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর হাট। জেলার সবচে বড় আমের হাট। মে থেকে জুলাই এই তিনমাস ক্রেতা বিক্রেতা আড়ৎদারের দর কষাকষিতে মুখরিত থাকে সারাদিন। সড়কের দু’পাশে রয়েছে অন্তত দেড়’শো আমের আড়ৎ।
এ মৌসুমে এখানকার প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষ গাছ থেকে নামানো, বাজারে তোলা থেকে শুরু করে প্রতিদিন চাহিদা অনুযায়ী আম ক্যারেটে সাজিয়ে বা টুকরি করে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আম কেন্দ্রিক ব্যবসা বাণিজ্য পাল্টে দিচ্ছে এ অঞ্চলের গ্রামীণ জনপদের অর্থনীতি।
আমের ভরা মৌসুম হওয়ায় কুরিয়ার সার্ভিসগুলো সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিরামহীনভাবে বুকিং নিচ্ছেন। প্রতি কেজি আম ঢাকায় ১২ টাকা আর রাজধানীর বাইরে পাঠাতে খরচ হচ্ছে ১৬ টাকা।
চেম্বার অব কর্মাসের নেতারা বলছেন, আমভিক্তিক শিল্প কারখানা গড়ে তোলা সম্ভব হলে অর্থনৈতিক মুক্তি মিলবে এ অঞ্চলের মানুষের।
রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, 'আমকে বহুমূখীভাবে ব্যবহার করে মুখরোচক খাবার তৈরি করে ব্যবস্থা করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।'
রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান রিংকু বলেন, 'কৃষকরা যখন লাভবান হবে তখন এখানে আমের উৎপাদনও বেড়ে যাবে এবং এ অঞ্চলের অর্থনীতির শক্তিও বেড়ে যাবে।'
বর্তমানে প্রতি মণ ক্ষীরশাপাত ২ হাজার, ল্যাংড়া ১ হাজার ৮’শ, লখনা ১ হাজার দুশো ও রানিপ্রসাদ আম বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪’শ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, বানেশ্বর হাটে প্রতিদিন গড়ে ১ কোটি টাকার আমের বেচাকেনা হয়।
Comments
- No comments found
Leave your comments