ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গত ৪ বছর আগে থেকেই সাতক্ষীরার আম বাজারজাত হচ্ছে। চলতি বছরও সাতক্ষীরায় আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছে আম চাষিরা। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিটি আম গাছে প্রচুর পরিমান মুকুল দেখা দিয়েছে। আমের মুকুলের ভারে যেনো গাছের ডাল নূয়ে পড়ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর সাতক্ষীরায় আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছে আম চাষীরা।
বিশেষ করে এখারকার মাটি ও আবহাওয়া আম চাষের অনুকূল হওয়ায় অন্য অঞ্চলে উৎপাদিত আমের চেয়ে সাতক্ষীরার আম খেতে বেশ সুসাধু। গত চার বছর ধরে সাতক্ষীরার আম বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে।
জানা যায়, চলতি বছর সাতক্ষীরায় প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষ হচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর প্রচুর পরিমান আমের মুকুল ধরেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সাতক্ষীরার চাহিদা মিটিয়ে এ বছর প্রচুর পরিমান আম দেশ-বিদেশে রপ্তানি হবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।
কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ, সাতক্ষীরা এর উপ-পরিচারক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান বলেন, সাতক্ষীরায় গোবিন্দভোগ, হিমসাগর, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস, ক্ষিরসরাইসহ নানা জাতের আম বাগান রয়েছে। আম গাছের পরিচর্যার জন্য নানামুখী কর্মযজ্ঞে মেতে উঠেছে শত শত মৌসুমী শ্রমিক। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মৌসুমে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও সাতক্ষীরা জেলা থেকে প্রায় ১০০০ মেট্টিক টন আম বিদেশে হতে পারে। গত বছর যার পরিমান ছিল ৭০০ মেট্রিক টন।
চলতি বছর মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টি আর অনুকূল আবহাওয়া থাকায় আম গাছে প্রচুর পরিমান মুকুল ধরেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর সাতক্ষীরায় রেকর্ড পরিমান আমের ফলন হবে। সাতক্ষীরায় উৎপাদিত আম যাতে বিদেশে যেতে কোন ধরণের বাধার সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং আমাদের মাঠ কর্মীরা সবসময় কৃষকদেরকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।